![]() |
It's Zia |
কালোজিরা উপকারিতাঃ
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে:
মেধা বিকাশে কালোজিরা খুবই উপকারী। এটি খেলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয়। এতে "থায়মোকুইনন" নামক একটি উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের টিস্যুকে বিকিরণ থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।
সর্দি-কাশি সারাতে:
কালোজিরা সঙ্গে মধু ও তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা ও জ্বর সারাতে কাজ করে। এছাড়া দ্রুত উপকার পেতে বুকে ও পিঠে কালোজিরা তেল মালিশ করতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি নিরাময়ে:
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। তাই যারা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তারা নিয়মিত খাবারের সঙ্গে কালোজিরা ভর্তা খেতে পারেন।
মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে:
এটি অনেক শিশুর জন্য একটি দুর্দান্ত প্রতিকার যারা পর্যাপ্ত বুকের দুধ পান না। সমস্যা সমাধানে স্তন্যদানকারী মায়েরা ভাতের সঙ্গে কালোজিরা খেতে পারেন। বাচ্চা প্রসবের পর কাঁচা কালোজিরা পিষে খেলে বাচ্চা বেশি দুধ পাবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
কালোজিরা তেল রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এটি নিম্ন রক্তচাপ বাড়াতে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া এটি শরীরের কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত কালোজিরা তেল খেলে উপকার পেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক।
ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে:
জীবনীশক্তি বজায় রেখে ত্বকের গঠন উন্নত করতে কালোজিরা খুবই উপকারী। এতে "লিনোলেইক" এবং "লিনোলেনিক" নামক প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বককে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করে এবং তারুণ্য ধরে রাখে।
বাতের ব্যথা উপশমে:
সমপরিমাণ কালোজিরা তেলের সাথে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে ব্যথার স্থানে মালিশ করলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
কয়েকটি সতর্কতা:
- গর্ভাবস্থায় কালিজিরা খাওয়া উচিত নয়।
- কালোজিরা রক্তের ঘনত্ব কমায়। তাই কোনো বড় সার্জারির আগে এটি খাওয়া উচিত নয়।
কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনক এবং তুলনাহীন। এর রস বা তেলে গুণাগুণ রয়েছে। তাই এর নিয়মিত ব্যবহার ও সেবনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্ত থাকতে পারি।