![]() |
Needpix.com |
১. রক্ত পরিষ্কার রাখতে
রসুনে রক্ত পরিষ্কার করার গুণ রয়েছে। দিনে প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন ও এক গ্লাস গরম পানি খেলে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক সুস্থ থাকবে। রসুনের সাথে গরম পানি পান এবং কিছু লেবুর রস যোগ করলেও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২. জ্বর এবং ঠান্ডা মোকাবেলা করতে
অনেকেই প্রায়ই ঠাণ্ডা ও জ্বরে ভোগেন। রসুন এই ধরনের মানুষের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রতিকার হতে পারে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে জ্বর ও সর্দি নিরাময়ে খুবই উপকারী। এ ছাড়া রান্না বা চায়ের সঙ্গেও রসুন খাওয়া যায়। আপনি যদি রসুনের গন্ধ
সহ্য করতে না পারেন তবে আপনি এর সাথে কিছুটা আদা এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এভাবে নিয়মিত রসুন খেলে শুধু ঠাণ্ডা ও জ্বর সাময়িকভাবে দূর হবে না বরং এসব সমস্যার বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।৩. ত্বক এবং চুলের যত্ন
নিয়মিত রসুন খেলে ত্বক সুন্দর হয় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়। এছাড়া ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে নিয়মিত রসুন খাওয়া উচিত। রসুন চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতেও ভালো কাজ করে। এর জন্য নিয়মিত রসুনের নির্যাস বা রসুন সমৃদ্ধ তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
৪. ব্যাকটেরিয়া এবং পেটের কৃমি চিকিত্সা করে
রসুন শরীরের অভ্যন্তরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং পেটের কৃমি ধ্বংস করতে সাহায্য করে। রসুনের নির্যাস থেকে 'মাউথ ওয়াশ' তৈরি করা যায় যা নিয়মিত ব্যবহারে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়।
৫. হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
রসুনে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ "অ্যালিসিন" প্রধানত স্বাস্থ্যের উপর এই ইতিবাচক প্রভাবে অবদান রাখে। এই কারণে, কাঁচা রসুন খাওয়াই ভাল কারণ সিদ্ধ করলে এতে থাকা অ্যালিসিনের ঔষধি মান কমে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ ঠিক রাখতেও রসুন ভূমিকা রাখে।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে
নিয়মিত রসুন খাওয়া শরীরকে সব ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। নিয়মিত কাঁচা ও রান্না করা রসুন খেলে পেট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে রসুন কার্যকর। এছাড়া রেক্টাল ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধেও রসুন বড় ভূমিকা পালন করে।
রসুন হাজার হাজার বছর ধরে খাদ্য এবং ওষুধ উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রসুন খেলে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। তাই ত্বকের যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে যেমন শরীরের তাপ বা মাথাব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে রসুন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে তাদের রসুন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রসুনের লবঙ্গ বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
রেফারেন্স: daktarbhai.com