নতুন পোষ্টের বিজ্ঞপ্তি পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন!

আসুন জেনে নেই কার্যকরী কয়েকটি জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

আসুন জেনে নেই কার্যকরী কয়েকটি জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
maxpixel

গরমে হুটহাট জ্বর এই সময়ে অস্বাভাবিক নয়। বাতাসে ঋতু পরিবর্তনের ঘ্রাণ। আমাদের শরীর যদি প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে না পারে, তাহলে একটু একটু করে রোগ হতে পারে। এদিকে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা আতঙ্ক। জ্বর থাকলে সাধারণ জ্বর ভেবে কখনও অবহেলা নয়। তবে চিন্তা না করে প্রথমে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। তারপরও যদি জ্বর না যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনার কপালে একটি কাপড় ভিজিয়ে পানিপট্টি দিন

জ্বরের ক্ষেত্রে, শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল পানিপট্টি দেওয়া। তাই একটি পরিষ্কার রুমাল ভাঁজ করে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা রুমালটি রোগীর কপালে রাখতে হবে। মিনিট দুয়েক পর রুমালটি আবার ভিজিয়ে একইভাবে কপালে রাখতে হবে। এভাবে কয়েকবার করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

মধু এবং তুলসী

সর্দি, কাশি বা জ্বরের মতো সমস্যায় মধু খুবই উপকারী। রোগে মধুর ব্যবহার বেশ পুরনো। মধু এবং তুলসী গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশি হলে প্রতিদিন সকালে মধু ও তুলসী পাতা এক সাথে খান। কিছুক্ষণ পর গলা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটি বেশ আরামদায়ক হবে।

আদা চা

জ্বর বা সর্দি-কাশির অস্বস্তি দূর করতে পারে আদা চা। আদা চা শুধু গলার কফ দূর করতেই নয়, বুকের কফ পরিষ্কার করতেও ভালো। ফুটন্ত পানিতে চিনি দিয়ে আদা চা ফুটিয়ে নিন। চিনি মেশানো হলে চায়ের সাথে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর আদা গুঁড়ো দিন। তারপর চা একটি চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি চায়ে ভিটামিন সি যোগ করে। এই আদা চা পান করলে সর্দি-কাশির সময় মাথাব্যথা কমে যায়। দুর্বলতা কেটে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে।

জ্বর কমাতে রসুনের ব্যবহার

এক কোয়া রসুন ও এক কাপ গরম পানি নিন। রসুন কুচি করে গরম পানিতে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর রসুনের কুঁচি ছেঁকে পানিটুকু চায়ের মতো করে খান। এভাবে দিনে দুবার খেতে হবে। এছাড়াও রসুন পিষে এর সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে পায়ের তলায় ভালো করে লাগান। তারপর পাতলা কাপড়ে সারারাত জড়িয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন জ্বর একেবারে চলে গেছে। তবে গর্ভাবস্থা বা শিশুর ক্ষেত্রে এটি করা যাবে না।

ভিটামিন

শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন বাইরের রোগজীবাণু সহজেই শরীরে আক্রমণ করতে পারে। একই কারণে ফ্লুও হয়। তাই ফ্লু থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন গ্রহণ করা জরুরি। কিছু খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবিসি ইত্যাদি থাকে তাই খাবারের সঠিক তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে সব ধরনের ভিটামিন শরীরে সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারে।

তরল খাদ্য

বুকে কফ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলেও সংক্রমণ হতে পারে। তাই ঠাণ্ডা লাগলে বুকে যেন কোনো কাশি না থাকে। এর জন্য আপনাকে প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি নিয়মিত ফলের রস বা স্যুপ খান। তরল খাবার কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না।

বিশ্রাম

এ সময় জ্বর হলে ঘর থেকে বের না হয়ে ঘরে বিশ্রাম নিন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এ সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই সঠিক বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঘরে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

সোর্সঃ- jagonews24

About the Author

তথ্যবহুল এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নানা ধরনের জানা-অজানা তথ্য। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে এই তথ্যবহুল ওয়েবসাইটের প্রতিটি তথ্য আপনাকে আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক সাহায্য করবে। এই তথ্যবহুল ওয়েবসাইটের সকল তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই আপনি প্রতিদিন আমাদের এই তথ্যবহুল সাইটের প্রতিটি পোস্টে চোখ রাখুন।
আপনার কাছে অনুরোধ
আমি আপনাদের কাছে নিয়মিত সেরামানের কন্টেন্ট শেয়ার করার চেষ্টা করছি। দয়া করে একটি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ২০ সেকেন্ড দেখুন এবং আমাদের সাহায্য করুন।
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.