![]() |
It's Zia |
জন্মগত ত্রুটির কারণে শিশুদের কিডনি রোগ হতে পারে। অন্যান্য রোগের কারণে অনেক শিশু কিডনির সমস্যায় ভোগে।
অনেকের ধারণা শিশুদের কিডনি রোগ হয় না। ধারণাটি সঠিক নয়। দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ শিশু। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ শিশু কিডনির সমস্যায় ভুগছে। জন্মগত ত্রুটির কারণে শিশুদের কিডনি রোগ হতে পারে। অন্যান্য রোগের কারণে অনেক শিশু কিডনির সমস্যায় ভোগে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কারণগুলো
প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে ৩ থেকে ৬ টি কিডনি ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন বা জন্মের পরপরই এটি আল্ট্রাসনোগ্রামের সময় সনাক্ত করা হয়। পলিসিস্টিক কিডনি রোগ এবং মাল্টিসিস্টিক কিডনি রোগে শিশুদের কিডনিতে সিস্ট দেখা যায়। হাইড্রোনফ্রোসিসের কারণে কিডনি বড় হয়ে যায়। সাধারণত মূত্রতন্ত্রে জন্মগত ত্রুটি থাকলে এই সমস্যা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই নিরাময়যোগ্য। সেক্ষেত্রে জন্মের পর সুবিধাজনক সময়ে সার্জারি প্রয়োজন হয়।
যে উপসর্গ দেখা দেয়
কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর শরীরে বিভিন্ন প্রদাহ দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখ ও মুখসহ সারা শরীর ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। যখন এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়, যদি রোগটি সনাক্ত করা হয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিত্সা করা হয়, শিশুটি সেরে উঠতে পারে।
যা করতে হবে
শিশুদের কিডনি ফেইলিউরের অন্যতম কারণ হ'ল হঠাৎ ডায়রিয়া বা বমি হওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন। এই পানিশূন্যতা সঠিকভাবে পূরণ না হলে কিডনিতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হতে পারে এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডায়রিয়া বা বমি, জ্বর হলে শিশুকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা তীব্র ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি এবং স্যালাইন দেওয়া উচিত। তাহলে কিডনির ক্ষতি এড়ানো যাবে।
শিশুদের মধ্যে কিডনি রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য লক্ষণগুলিতে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্রাব করার সময় শিশুর সমস্যা হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। এ ছাড়া শিশু প্রস্রাব করার সময় কান্নাকাটি করলে বা লাল রঙের প্রস্রাব করলে সচেতন হতে হবে। শিশুর মুখ ফুলে যাওয়া, শরীর জলে, শ্বাসকষ্ট, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা প্রস্রাব না হওয়া, রক্তস্বল্পতা, জ্বর, পেটে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, বাঁকা পা, খিঁচুনি ইত্যাদি থাকলে সতর্ক থাকুন। অবহেলা করবেন না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।